শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:৫৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
পোশাক রপ্তানিতে বিস্ফোরণ যুগ আসবে

পোশাক রপ্তানিতে বিস্ফোরণ যুগ আসবে

স্বদেশ ডেস্ক:

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি চি মিং বলেছেন, ২০২০ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানিযোগ্য ৯৭ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা কার্যকর হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য বড় একটি সুখবর। শিগগিরই চীনে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানির বিস্ফোরণ যুগ আসবে। তৈরি পোশাক ও সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলো উন্নয়নের সুযোগ তৈরি হবে।

রাষ্ট্রদূত লি চি মিং চায়না মিডিয়া গ্রুপ ও আরটিভিকে দেওয়া এক যৌথ সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জন্য বিশেষ এ সুবিধাজনক নীতি চালুর কারণও ব্যাখ্যা করেন।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, আসলে চীন ও বাংলাদেশ সরকার অনেক দিন ধরেই এ সুবিধাজনক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করে আসছে। এটা কোনো আকস্মিক সিদ্ধান্ত নয়। গত বছর দুদেশের সরকারি পর্যায়ে এ আলোচনা সম্পন্ন হয়। সম্প্রতি সরকারি পর্যায়ে এ বিষয়ে চিঠিপত্র বিনিময় হয়েছে। ১ জুলাই থেকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে।

উল্লেখ্য, চীন হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার; অন্যদিকে বাংলাদেশ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তুষ্ট চীন; কিন্তু দুদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এ বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্যই চীন সরকার বিশেষ এ সুবিধাজনক নীতি ঘোষণা করেছে।

রাষ্ট্রদূত লি বলেন, চীন ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্য থাকতে হবে। আর এ জন্য বাংলাদেশ থেকে চীনে আরও বেশি পণ্য রপ্তানি করতে হবে। বর্তমানে চীন বাংলাদেশের তালিকাভুক্ত ৯৭ শতাংশ পণ্যে (৮২৫৬টি পণ্য) শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। এমন সুবিধা বিশ্বের খুব কম দেশই পেয়েছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো।

রাষ্ট্রদূত মনে করেন, এ নীতি চালু হওয়ার পর দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আর বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ চীন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে এসে বিনিয়োগ করবে। তাদের টার্গেট বাজার হবে চীন। এটি বাংলাদেশের জন্য নিঃসন্দেহে দারুণ একটি সুযোগ। বাংলাদেশকে ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার পর এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে দুদেশের বাণিজ্যিক বিকাশ দেখা যাবে। বাংলাদেশে চীনা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর সব খাতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে; কিন্তু বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। লি চি মিং বলেন, আমরা বাংলাদেশে আছি, এ দেশের মানুষের পাশে আছি, এ দেশের চীনা শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আছি, বাংলাদেশে প্রবাসী চীনাদের সঙ্গে আছি। আমরা যৌথভাবে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877